জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১১

যুদ্ধের কাল (কিশোর গল্প)

মনুভাই চুপচাপ মানুষ। দুলুর মত হুল্লোড়ে নয়। কথা বলে কম; যা বলে, সবার মতে, হিসেব করেই। আর দুলু? সারাক্ষণ বক বক; কেউ জোর করে, মানে, ধমক টমক দিয়ে না থামালে এক পিনে আশি রেকর্ড।
অতএব বাড়ির সবার কাছে মনুভাইয়ের কদর বেশি। কারো দরিল-দস্তাবেজ পড়ে দেবার দরকার হলে মনুভাই, চিঠিপত্র লেখার কাজে মনুভাই, গুরুত্বপূর্ণ কোনো বাজার-সওদা করে দিতে হলে, তাও মনুভাই। তবে দুলুর কদর আছে এক জায়গায়। সেখানে মনুভাইয়ের পাত্তা নেই। সেখানে দুলু।
দুলু পুঁথি পড়তে পারে সুরেলা টানে; পষ্ট উচ্চারণে। তার গলা ভাল। মনুভাইয়ের গলা নেই। তাই মাঝে মধ্যে, চমৎকার কোনো রাতে ভাত টাত খাবার পর দুলুর ডাক পড়ে  মেঝমামীর ঘরে। মেঝমামা নেই। মারা গেছে গত বছর চরলক্ষ্মী হতে বন্যায় ভেসে গিয়ে। মেঝমামার পুঁথিগুলো আছে। ছয়ফুল মূল্লুক বদিউজ্জামাল, সোনাভান মোহাম্মদ হানিফা আর ভেলুয়া সুন্দরীর পুঁথি। দুলু পুঁথিহাতে আসর জাঁকিয়ে বসে। তার চারদিকে গোল হয়ে বসে পুঁথি-শুনিয়ের দল। মেঝমামী, বড়মামী, পশ্চিম ঘরের বুড়ি নানী, ইসলাম, জয়নাল, শেফালী, রেজুবু’এরা। সবাই চুপ হয়ে গেলে দুলু শুরু করে:
এ-এ-এ
প্রথমে স্মরণ করি প্রভু নিরঞ্জন।
কুদরতে সৃজিলা যিনি এই বিশ্বভূবন॥
............
আরে
বৈরাট নগরে ছিল শাহা সেকান্দর।
বড়ই নামজাদা বাদশা দুনিয়ার ওপর॥
.............
আরে
তান সুত নামে যিনি ছয়ফল মুল্লুক
বদিউজ্জামাল পরী তাহার মাশুক॥
পুঁথি পড়তে পড়তে সময় গড়িয়ে চলে। চার পাশে শ্রোতার দল সমঝদারের ভঙ্গিতে মাথা নড়ে। হুঁ দেয়। মাঝে মধ্যে পশ্চিম ঘরের বুড়ি নানী বলে ওঠে, ‘এ জায়গাটায় আবার পড় দেখি, দুলু। ভাল বুঝতে পারিনি।’
দুলু পড়তে থাকে:
আরে
বাদাম ছিড়িয়া গেল ভাঙ্গিল মাস্তুল।
জাহাজে পড়িয়া গেল মহা হুলুস্থুল ॥
খালাসী সুকানী আদি যত লোক লশকর।
তুফান দেখিয়া ডরে কাঁপে থর থর॥
ক্রমে রাত বাড়তে থাকে। ছয়ফল মূল্লুকের জাহাজ ডুবে যায় লবলম্বু দরিয়ায়। ছয়ফল মূল্লুক তার দোস্ত ছায়াদসহ ভেসে যায় ভাঙা জাহাজের তক্তা ধরে। ভাসতে ভাসতে গিয়ে ঠেকে কোকাফ পাহাড়ের পাদদেশে। কোকাফ পাহাড় দেওদের দেশ। সেখানে ছয়ফল মূল্লুক বন্দি হয় দেওদের হাতে। দেওদের হাত থেকে কৌশলে মুক্তি পেয়ে তারা গিয়ে পৌঁছে এক দেশে। সে দেশ বিরান, কিন্তু সে বিরান দেশের এক মন্দিরে বন্দি হয়ে আছে বাদশাজাদী মালেকা বানু। ছয়ফল মূল্লুক মালেকার সিথানের কাঠি পৈথানে আর পৈথানের কাঠি সিথানে বদল করে তার ঘুম ভাঙায়। তারপর দু’জনে মিলে দেওকে হত্যা করে মালেকার দেশে গিয়ে পৌঁছে।
পুঁথিপড়া চলতে থাকে বিরামহীন। পুঁথি-শুনিয়ের দল ছয়ফল মূল্লুকের দুঃখে আহা-উহু করে, দীর্ঘশ্বাসের পর দীর্ঘশ্বাস ফেলতে থাকে। তাতে দুলুর উৎসাহ যায় বেড়ে। পয়ার সুর ছেড়ে সে ত্রিপদীর টানে গাইতে থাকে বদিউজ্জামাল পরীর জন্যে শোকে কাতর ছয়ফল মূল্লুকের গান:
আহা রে জামাল পরী, কিবা দুঃখ প্রাণে ধরি
তোমার তরে দিলাম পাড়ি লবলম্বু দরিয়া...
কিন্তু দুঃখের রজনীও প্রভাত হয়। ছয়ফল মূল্লুকের দুঃখও বুঝি শেষ হয়। সে জানতে পায়, শাহজাদী মালেকা বানু বদিউজ্জামাল পরীর দুধবোন। তারপর এক পূর্ণিমার রাতে ফুলবাগানে বদিউজ্জামাল পরীর সাথে দেখা হয় ছয়ফল মূল্লুকের। সেখান থেকে ছয়ফল মূল্লুক পাড়ি জমায় মানুষের যাওয়া অসাধ্য যেখানে, সে গোলেস্তা এরোমে, বদিউজ্জামাল পরীর দেশে।
কিন্তু তারপরও কি দুঃখ শেষ হতে চায়? গোলেস্তা এরোম দেশের পাশেই দেওদের রাজ্য। দেওরাজার সাথে পরীর বাদশার ঝগড়া। একদিন দেওরা চুরি করে নিয়ে যায় ছয়ফল মূল্লুককে গোলেস্তা এরোম থেকে। দেওয়ের রাজ্যে নিয়ে গিয়ে তারা তাকে বন্দি করে রাখে পাহাড়ের গুহায় সাতমণী পাথর চাপা দিয়ে। খবর শুনে বদিউজ্জামাল পরী গেল মুর্চ্ছা। কন্যার দুঃখে গর্জে ওঠে পরীর বাদশা শাহবাল। চোখ দিয়ে আগুন বেরোয় তার। তারপর তো শুরু হলো যুদ্ধ।
যুদ্ধ! ঢাল-তরোয়াল, মুগুর-গদা, তীর-ধনুক আর বাণ-বর্শায় তুমুল যুদ্ধ। অগ্নিবাণ, বৃষ্টিবাণ, হস্তীবাণ, ব্যাঘ্রবাণ! বাণে বাণে কাটাকাটি,  দেও-পরীতে হাতাহাতি, মুগুর-গদায় মাথা ফাটাফাটি।
যুদ্ধ! যুদ্ধ! ঘরসুদ্ধু লোক যেন যুদ্ধের গরমে টগবগ করে ফুটছে। পশ্চিম ঘরের বুড়ি নানী পিচ করে পানের পিক ফেলে চিলমচায়। তারপর বলে ওঠে, ‘হুঁ-উ, মরার দেও! মর মর...’
কে একজন বুড়ি নানীর গলার মত করে ফোঁড়ন কাটে, ‘হুঁ, মরার পাঞ্জাবী! মর মর...’
সাথে সাথে ক’জন হা হা হি হি করে হেসে ওঠে। আরেক জন বলে ওঠে, ‘দেও-পরীর যুদ্ধ নয়, বাঙালি-পাঞ্জাবীর যুদ্ধ।’
দুলু আস্তে আস্তে পুঁথি বন্ধ করে। বাঙালি-পাঞ্জাবীর যুদ্ধের কথায় আনমনা হয়ে গেছে সে। পুঁথি পড়তে গিয়ে আজ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র শোনা হয়নি তার। শোনা হয়নি শেখ মুজিবের বজ্রকণ্ঠ, মোহাম্মদ শাহ্ বাঙালীর যুদ্ধের পুঁথি। সে আড়মোড়া ভাঙতে ভাঙতে বলে, ‘পরী হলো বাঙালিরা, আর পাঞ্জাবীরা দেও। বাঙালিরাই জিতবে তাইলে, না কিরে জয়নাল?’
জয়নালই বলেছিল বাঙালি-পাঞ্জাবীর যুদ্ধ। সে হেসে সায় দেয়। ‘ঠিক তা-ই।’
কিন্তু পশ্চিম ঘরের বুড়ি নানী ভয়ে বিড় করে, ‘ কেমন করে জিতবে বাঙালিরা? বাঙালিদের কাছে কি বন্দুক আছে? হায় আল্লাহ! মেলিটারিরা সব মানুষ মেরে ফেলছে। হায় আল্লাহ!’
বড় মামী হঠাৎ জিজ্ঞেস করেন, ‘দুলু, শেখ মুজিব কোথায় রে? তারে মারি ফেলে নাই তো?’
দুলু চিন্তিত স্বরে বলে, ‘শেখ মুজিব তো বন্দি। শুনছি, ইয়াহিয়া খান তার বিচার করবে।’
শেফালী মাঝখান থেকে বলে, ‘ছয়ফল মূল্লুকের মত বন্দি দেও পাঞ্জাবীদের হাতে। পরী বাঙালিরা তারে উদ্ধার করবে, হি হি হি...’
বুড়ি নানী আবার বিড় বিড় করে, ‘বাঙালি তো সব মেরে ফেলছে রে পাঞ্জাবীরা। বাঙালিরা কী দিয়ে যুদ্ধ করব? অস্ত্র কোথায়? হায় আল্লা...’
শেফালীর কথা শুনে দুলু খুশি হয়। সত্যিই, শেখ মুজিব ছয়ফল মূল্লুক। ছয়ফল মুল্লুকের মতই কষ্ট করছে, জেল খাটছে। দেও-পরীর যুদ্ধের মতই বাঙালি-পাঞ্জাবীর যুদ্ধ হচ্ছে। কিন্তু, তাইলে বদিউজ্জামাল কে? কেন, স্বাধীনতা! দুলু মনে মনে হেসে ওঠে। শেখ মুজিব ছয়ফল মূল্লুক, স্বাধীনতা বদিউজ্জামাল। স্বাধীনতা!
দুলু ‘স্বাধীনতা’ শব্দটি মনে মনে আওড়াতে আওড়াতে ঘরে যায়।
ঘরে আলো জ্বলছে। নানী জেগে আছে, নানু ঘুম। পাখি আর নাছিরও। দুলু একটু অবাক হয়। নানীর এতক্ষণ জেগে থাকার কথা নয়। সে জিজ্ঞেস করে, ‘জেগে আছেন কেন?’
নানী পান খাচ্ছিলেন। কোঁৎ করে পানের পিক গিলে বললেন, ‘মনু গেল কোথায় রে?’
দুলু বলে, ‘কেন আসেনি এখনো?’
নানী মাথা নাড়ল। ‘না।’
দুলু চিন্তিত হয়। মনুভাই এত রাত পর্যন্ত বাইরে থাকে না।
নানী বলতে থাকেন, ‘সকালে যে খেয়ে বেরিয়েছে, আর আসেনি। দুপুরেও আসেনি। গেল  কোথায়?’
দুলু বুঝতে পারে নানী খুব ভাবছেন। মনুভাইয়ের জন্যে তার খুব টান। দুলু হাসে। টান তার জন্যেও কম নয়। তবু মনুভাইয়ের জন্যে শুধু নানীর নয়, বাড়ির সবারই আলাদা একটা টান আছে তার চুপচাপ স্বভাব আর শান্ত মেজাজের জন্যে।
তো কোথায় গেল মনুভাই? ইন্ডিয়ায় চলে যায়নি তো! দুলুর বিশ্বাস হতে চায় না। মনুভাই যাবে ইন্ডিয়ায়? যাবে যুদ্ধে? কোনোদিনই তো  তাকে যুদ্ধ নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়নি। দুলু বাজি ধরে বলতে পারে, যুদ্ধ সম্পর্কে সে যা জানে, মনুভাই তার অর্ধেকও জানে না। রেডিও শুনতেই দেখা যায়নি তাকে কোনোদিন। ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ে সে।
পরদিন দুপুরেই খবর পাওয়া গেল। শুধু মনুভাইয়েরই নয়, পাড়ার আরো চারজনের খবর খোঁজ নেই গতকাল থেকে। পাঁচজন একই দিনে এক সঙ্গে কোথায় যেতে পারে? নানী হায় হায় করতে লাগল। কান্নাকাটি শুরু হয়ে গেছে তার।
নানু নানীকে ডেকে বললেন, ‘কেঁদো না। আল্লাহ্ আল্লাহ্ করো। ওরাই তো যুদ্ধে যাবে।’
কিন্তু নানী কাঁদতে থাকল। গত বছরের বন্যায় মামা মারা যাওয়ার পর থেকে মনুভাইয়ের ওপর টান বেড়ে গেছে তার। সে মনুভাই গেছে যুদ্ধে? সে কী যুদ্ধ করবে!
সে কী যুদ্ধ করবে? এ প্রশ্ন দুলুরও। মনুভাই তো চুপচাপ আর নিরামিষ ধরনের মানুষ। যুদ্ধ করতে হলে তেজী মানুষের দরকার। মনুভাইয়ের কি তেজ আছে? কিন্তু...দুলু হঠাৎ শিউরে ওঠে। ‘জয় বাংলা...বাংলার জয়’ গান শুনতে শুনতে বুঝি হাজার হাজার ধরে যত বাঙালি মরেছে, তারাও জেগে ওঠে! মনুভাই তো জ্যান্ত মানুষ। দুলু ঠিক করে সেও যুদ্ধে যাবে।
সে জয়নালকে বলে এ কথা। দেখা গেল জয়নালেরও খুব ইচ্ছে। কিন্তু...জয়নাল বলে, ‘আচ্ছা, আমাদের যুদ্ধে নেবে তো?’
দুলু অবাক। ‘নেবে না কেন?’
জয়নাল ফিক করে হেসে দেয়। ‘আমরা তো ছোট। মোটে বারো তেরো বছর..’
সেটা একটা কথা বটে। তাছাড়া...দুলু আড়চোখে নিজে দিকে তাকায়। শুকনো পাটকাঠির মত সরু  শরীর তার। তাকে কি যদ্ধ নেবে?
তবু সে বলে, ‘তাতে কী? আমরা ছোট হলেও আমাদের তো সাহস আছে। আর যুদ্ধ করতে হলে সাহস লাগে।’
জয়নাল প্রতিবাদ করে না। বোঝা যায়, সাহস তারও আছে। দুলুর উৎসাহ ফিরে আসে। সে বলে, ‘চল, জয়নাল। আমরাও ইন্ডিয়ায় যাই।’
‘কিন্তু যাব কী করে?’ জয়নাল প্রশ্ন করে। ‘আমরা কি পথ চিনি?’
‘পথ চিনে নেব।’ দুলু উৎসাহ হারায় না। ‘যারা চেনে, তাদের সাথে যাব। তবে...’ সে হঠাৎ থেমে যায়। ‘তারা কারা?’
দুলু এতদিন জানত, মনুভাই তার বড়। কিন্তু আজ সে বুঝতে পারল যে, মনুভাই সত্যিই তার বড়। বড় বলেই মনুভাই তাকে জিজ্ঞেস করেনি সেও যুদ্ধে যাবে কিনা। দেখা যাচ্ছে ক্লাস এইটে পড়লে কী হবে, মনুভাইয়ের ধারণা সে এখনো ছোট। আসলেই কি তা-ই? কিন্তু সে জানে না, ইন্ডিয়া যেতে হলে কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। অথচ মনুভাই তা জানতÑকিন্তু তাকে বলার দরকার মনে করেনি। আর, দুলু এও বুঝতে পারে যে, বাড়িতে দুলুর চেয়ে মনুভাইয়ের কদর বেশি সে শুধু চুপচাপ আর শান্ত বলে নয়, বরং দুলুর চেয়ে সে অন্যদের কাছে বড় আর বুদ্ধিমান বলেই। কিন্তু তাতে কী? দুলু ভাবে, ছোট বলে কি যুদ্ধে যেতে পারে না? মনুভাই তাকে একবার তো জিজ্ঞেস করতে পারত। অভিমানে বুক ভরে ওঠে তার মনুভাইয়ের ওপর।
রাতে খাবার পর মেঝমামী আসে। নানীর সাথে কিছুক্ষণ মনুভাইয়ের প্রসঙ্গে কথাবার্তা বলে। তারপর দুলুকে বলে, ‘চল, পুঁথি পড়বি। কাল তো যুদ্ধের সেখান থেকেউঠে এলি...’
দুলু যায় না। চুপচাপ শুয়ে পড়ে। মেঝমামী বেজার হয়েছে, বুঝতে পারে ও। দেও-পরীর যুদ্ধের কাহিনীটা খুব জমজমাট।
কিন্তু সে কী করবে? তার দোষ কোথায়? যুদ্ধের কাহিনী পড়তে এখন তার ভাল লাগবে না। সে এখন যুদ্ধে যেতে চায়। কিন্তু কার সঙ্গে যাবে? কে তাকে নিয়ে যাবে? বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করতে থাকে সে।
মেঝমামী বেজার হয়েছে। ছয়ফল মূল্লুক বদিউজ্জামালের পুঁথিটা তার খুব প্রিয়। ঠিকাছে, দুলু ভাবে, কাল পড়ে দেবে...ছয়ফল মূল্লুক বদিউজ্জামালের পুঁথি...
....বদিউজ্জামাল, শাহবাল বাদশা, দেওরাজা, দেও-পরী, যুদ্ধ.....
.....যুদ্ধ, মনুভাই, মুক্তিবাহিনী, শেখ মুজিব, বজ্রকণ্ঠ, বাঙালি, পাঞ্জাবী, স্বাধীনতা, যুদ্ধ...যুদ্ধ....
যুদ্ধ! দুলু পরীর রাজা মহাবীর শাহবালের মত অগ্নিবাণ, বৃষ্টিবাণ, হস্তীবাণ, ব্যাঘ্রবাণ, রাইফেল, স্টেনগান আর মেশিনগান নিয়ে দেও-পাঞ্জাবীদের বিরুদ্ধে তুমুল যুদ্ধ করতে করতে ঘুমের মত চমৎকার এক স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যায়।








কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন