জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১১

বানান-ভীতি (কিশোর কবিতা)


তোমার কাছে লিখতে বসে চিঠি, কাকু
মনটা ভয়ে করছে ভীষণ আঁকুপাকু
ফাইভে পড়ি, ঠিক জানি তাই থাকবে না মান
তোমার কাছে লিখতে গিয়ে ভুল যদি হয় বানান টানান।


বানান টানান এসব ব্যাপার  এমন বাজে
শব্দগুলো যেমন খুশি তেমন সাজে
লিখতে গেলেই গুলিয়ে যাবে ইচ্ছেমত
শুদ্ধভাবে মোটেও মনে থাকে না যে।


যেমন ধরো, হ্রস্ব ‘ই’ কার, দীর্ঘ ‘ঈ’ কার
বুঝি না ছাই এদের কেমন  ব্যাপার স্যাপার
একটা বামে একটা ডানেÑ
বাব্বাহ্, যেন দু’দিক থেকে
য়্যাব্বড় দুই লাঠি কাঁধে মস্ত দু’জন পাহারাদার!
কেন, এদের একটা হলে কী ক্ষতি হয়
কিংবা তারা মাঝে মাঝে জায়গা বদল করলে কী হয়?
দোষ কী তাতে? মহাভারত উল্টে যাবে?
ঘটবে প্রলয়?


আবার দেখো শ, ষ ও স
তিন রকমের তিনটা পাজি দাঁত কেলিয়ে চেয়ে আছে
লিখতে গেলেই লাগবে পাছে
মাথা তোমার গুলিয়ে দেবে
নাম-ঠিকানা ভুলিয়ে দেবে
তিনটা পাজি তিন রকমের
ওলট পালট ভুলের মালা
তোমার গলায় ঝুলিয়ে দেবে।
তারচে’ কাকু, তিনটা থেকে একটা নিলে ক্ষতি কী হয়?
প্রথম দুটো বাদই দিলাম, থাকবে না ভুল
বাঁচবে সময়।

তেমনি দেখো, হ্রস্ব^ ‘উ’ কার দীর্ঘ ‘ঊ’ কার ও ঋ
জ য কী বিচ্ছিরি!
ড় ঢ় ৎ ত
ন আর ণও তাদের মত;
এত্তরকম হিজিবিজি মনে থাকে
আচ্ছা কাকু, তুমিই বলো মনে থাকে?


তোমার কাছে ঈদের আগে
লাল টুকটুক একটা জামার
বায়না নিয়ে লিখব বলে বসেছিলাম
কিন্তু শুধু বানান ভুলের
ভয়েই শেষে চিঠি লেখায়
ক্ষান্ত দিলাম।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন