জনপ্রিয় পোস্টসমূহ
-
এক শ’চারেক গরু প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে পরস্পরের সাথে ঠেলাঠেলি আর গুঁতোগুঁতি করছে। অবিরাম ক্রুদ্ধ, অসহিষ্ণু চিৎকারে ...
-
লাখ লাখ শিশু শুয়ে আছে চুপচাপ আকাশের দিকে বড় বড় চোখ মেলে টিঙটিঙে পেটে ক্ষুধার তীব্র তাপ সাত সাগরের ঢেউয়ের মতো খেলে যশোর রোডের সারি ...
-
বৃষ্টি ঝরুক বৃষ্টি ঝরুক এবার তবে বৃষ্টি ঝরুক মাথার ওপর গুমোট মেঘের জমাট কঠিন পাহাড় নড়–ক পায়ের নিচে পাথর জমির খটখটে বুক ঘাসে ভরুক ঝরঝর...
-
স্বর্ণদ্বীপের ছেলে (কিশোর গল্প) একটা ছোট্ট ছেলের গল্প এটা। বারো কি তেরো বয়েস। তার সাথে দেখা হলেই সে এক আশ্চর্য স্বর্ণদ্বীপের গল্প শোনাবে...
-
এক অলস ভঙ্গিতে ঘোড়ার পিঠে বসে আছে রায়ান। লম্বা চওড়া দশাসই চেহারা। বিশাল বে ঘোড়াটা দুলছে চলার তালে তালে, তার স...
-
পাঁচজন অন্ধ বলে ওঠে, বাহ্, কী সুন্দর!’ পাঁচজন বধির বলে ওঠে, ‘চমৎকার, দারুণ বলেছ!’ পাঁচজন ল্যাঙড়া নেচে ওঠে, ‘হুররে হো!’ একজন রাজাকার ঊর্ধ্...
-
শাদা শাড়ি ভালোবাসে মেঘের মেয়েরা! না-উত্তুর না-দখিনা বাতাস খুব গায়ে মেখে আকাশের নীল বনে আঁচল ওড়ায় বরষায় ওরা খুব কেঁদেছিল তুমুল আবেগে পৃ...
-
AZ¨šÍ fvj †L‡j Rqx n‡j Zzwg †Zvgv‡K Awfb›`b bv, †Kv‡bv Awf‡hvM †bB| GK nvRviwU KweZv †Zvgvi eMj`vev wZb j¶ kã‡K ˆL‡qi gZ †dvUv”...
-
মনুভাই চুপচাপ মানুষ। দুলুর মত হুল্লোড়ে নয়। কথা বলে কম; যা বলে, সবার মতে, হিসেব করেই। আর দুলু? সারাক্ষণ বক বক; কেউ জোর করে, মানে, ধমক টমক দিয়...
-
GK cy‡iv e¨vcviUv †hfv‡e NUv DwPZ, wVK †mfv‡eB NU‡Z hvw”Qj| m~h© †hgb cye †_‡K D‡V cwð‡g A¯— hvq, †Nvi Agvek¨vi ci GK dvwj Puv` †hgb w`‡b w`...
রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১১
বুধবার, ২ নভেম্বর, ২০১১
তোমার চলার পথ (কিশোর কবিতা)
তোমাকে দেখেই যদি পাখিরা তাদের গান থামিয়ে
দিতে চায় দিক তবে, তুমি কিছু বোলো না তাদের
ফুলেরা পাপড়ি বুজে হাসিমুখ নেয় যদি নামিয়ে
নিক তারা, কী আছে বলার তাতে? তারাদের
আসরে না-ই বা গেলে
চাঁদের প্রদীপ জ্বেলে
আকাশ অন্ধকারে তোমার চলার পথ আলোকিত না যদি করে
তুমি থেমে যেয়ো না তো--পাহাড়ের কাছে যাও, জেনে নাও
হাজার বছর ধরে নিজের মতন করে নিজেকে বাঁচাতে হয় কী করে
কীভাবে গাছের মতো মাটিকে আপন ভেবে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় শিকড়ে?
তুমি গান গেয়ে যাও, ঝরনা ঘুমিয়ে যদি
থাকে থাক--ক্ষতি কী তাতে?
নদীরা নীরবে বয়ে গেলে যাক
মায়াবী রাতে
ঘুমের গহীনে এসে মোহিনী স্বপ্ন বীণা না-ই বা বাজাক
সোনালি রোদের রেখা যদি না ফোটেও কোনো কালো প্রভাতে
কী হবে তাতে?
তোমাকে তো যেতে হবে চেনার সীমানা ছেড়ে
অচেনার অঙ্গনে অসীম রাতে।
হাজার রজনী ধরে বাঁচার স্বপ্ন নিয়ে
পথ হাঁটে একাকিনী শাহেরজাদী
গল্প ফুরিয়ে গেলে স্বপ্ন হারিয়ে যাবে
জীবন যে হবে তামাদি
আরবের মরু ছেড়ে ইরাক ইরান আর ভূমধ্য সাগরের তীরে
নীলের মোহনা হতে মিসিসিপি আমাজান ইয়াংসি যমুনার চরে
পৃথিবীর সমস্ত মহাদেশ ঘিরে
হাঁটছে শাহেরজাদী জীবনকে ভালোবেসে, তার মতো তুমি
তুমিও এগিয়ে চলো তোমার চলার পথে
হে পথিক জীবনবাদী।
দিতে চায় দিক তবে, তুমি কিছু বোলো না তাদের
ফুলেরা পাপড়ি বুজে হাসিমুখ নেয় যদি নামিয়ে
নিক তারা, কী আছে বলার তাতে? তারাদের
আসরে না-ই বা গেলে
চাঁদের প্রদীপ জ্বেলে
আকাশ অন্ধকারে তোমার চলার পথ আলোকিত না যদি করে
তুমি থেমে যেয়ো না তো--পাহাড়ের কাছে যাও, জেনে নাও
হাজার বছর ধরে নিজের মতন করে নিজেকে বাঁচাতে হয় কী করে
কীভাবে গাছের মতো মাটিকে আপন ভেবে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় শিকড়ে?
তুমি গান গেয়ে যাও, ঝরনা ঘুমিয়ে যদি
থাকে থাক--ক্ষতি কী তাতে?
নদীরা নীরবে বয়ে গেলে যাক
মায়াবী রাতে
ঘুমের গহীনে এসে মোহিনী স্বপ্ন বীণা না-ই বা বাজাক
সোনালি রোদের রেখা যদি না ফোটেও কোনো কালো প্রভাতে
কী হবে তাতে?
তোমাকে তো যেতে হবে চেনার সীমানা ছেড়ে
অচেনার অঙ্গনে অসীম রাতে।
হাজার রজনী ধরে বাঁচার স্বপ্ন নিয়ে
পথ হাঁটে একাকিনী শাহেরজাদী
গল্প ফুরিয়ে গেলে স্বপ্ন হারিয়ে যাবে
জীবন যে হবে তামাদি
আরবের মরু ছেড়ে ইরাক ইরান আর ভূমধ্য সাগরের তীরে
নীলের মোহনা হতে মিসিসিপি আমাজান ইয়াংসি যমুনার চরে
পৃথিবীর সমস্ত মহাদেশ ঘিরে
হাঁটছে শাহেরজাদী জীবনকে ভালোবেসে, তার মতো তুমি
তুমিও এগিয়ে চলো তোমার চলার পথে
হে পথিক জীবনবাদী।
বৃষ্টি ঝরুক (কিশোর কবিতা)
বৃষ্টি ঝরুক বৃষ্টি ঝরুক
এবার তবে বৃষ্টি ঝরুক
মাথার ওপর গুমোট মেঘের
জমাট কঠিন পাহাড় নড়–ক
পায়ের নিচে পাথর জমির
খটখটে বুক ঘাসে ভরুক
ঝরঝরিয়ে বৃষ্টি ঝরুক।
বৃষ্টি নামুক বৃষ্টি নামুক
ঝিরঝিরিয়ে বৃষ্টি নামুক
পুবের হাওয়া দিক না দোলা
কালবোশেখির ঝাপ্টা থামুক
আকাশ হিমেল মেঘে ছেয়ে
তাল-সুপুরির পাতা বেয়ে
বাঁশবাগানে পাটের ক্ষেতে
অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামুক
গুমোট মেঘের পাহাড় ঘামুক
আকাশ বেয়ে ঝরনা নামুক।
‘লু’ সাহারা বইছে করাল
জিহ্বা মেলে, নেই যে আড়াল
শাল-পিয়ালের সবুজ বনে
দলকলমির আস্তরণে
নেই ঢাকা মাঠ পুকুর নদী
ন্যাঙটো উদোম সমস্ত দেশ
হায় রে মাটির ঝলসানো বুক
পলিমাটির দেশে অসুখ
পুড়ছে মাটি-মানুষের বুক
এই আগুনের নেই কী রে শেষ!
বৃষ্টি আসুক বৃষ্টি আসুক
বৃষ্টিতে মন-মাটি ভাসুক
কদম-কেয়ার পাপড়ি হাসুক
বৃষ্টি আসুক বৃষ্টি আসুক;
বৃষ্টিতে বান-বন্যা উঠুক
সাত সাগরের প্লাবন ছুটুক
নুহ নবীর কিস্তি বেয়ে
চিরকালের কোরাস গেয়ে
মানুষ যাবে নতুন চরের
সন্ধানে, আহ বৃষ্টি ঝরুক
ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি ঝরুক।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)